ভাই ও বোনদের প্রতি ভালোবাসার বার্তা:

প্রিয় ভাই! আশা করি আপনি ভালো আছেন। আপনার প্রতি আমার সম্মান এবং শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। আমি আপনার ভাই, আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী। আপনার মঙ্গল ও কল্যাণের জন্য আমি আপনাকে কিছু বার্তা পৌঁছে দিতে চাই, যা আপনি হয়তো জানেন না!

শ্রদ্ধেয় ভাই! আপনি কি জানেন আমরা কেন এই পৃথিবীতে এসেছি? আমরা কোথায় ছিলাম? মৃত্যুর পর আমরা কোথায় যাব? আমি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে চাই।

 

আপাতদৃষ্টিতে স্বাধীন হলেও আমাদের সবারই একজন মালিক আছেন। যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং মায়ের গর্ভে লালন পালন করেছেন। তিনি এখনও আমাদের প্রতিপালন করছেন। মৃত্যুর পর আমরা তাঁর কাছেই ফিরে যাব। তিনি হলেন আল্লাহ।

আমরা আল্লাহ সম্পর্কে একটি ভুল ধারণা পোষণ করি, মনে করি তিনি শুধু মুসলমানদেরই স্রষ্টা বা তাদের উপাস্য। কিন্তু সত্য হলো, তিনি সব মানুষেরই স্রষ্টা। আল্লাহ বলেছেন:
“হে মানুষ! তোমাদের রবের ইবাদত করো, যিনি তোমাদের এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদের সৃষ্টি করেছেন।” (সূরা বাকারাহ, আয়াত ২১)

আমাদের মহান স্রষ্টা আল্লাহ তাঁর বান্দাদের খুব ভালোবাসেন। তাঁর বান্দারা যেন পথভ্রষ্ট না হয় এবং তাঁকে ভুলে না যায়, এই জন্য তিনি যুগে যুগে নবী ও রাসুল প্রেরণ করেছেন। এই ধারাবাহিকতায় তিনি শেষ নবী মুহাম্মাদ (সা.)-কে প্রেরণ করেছেন। তিনি শুধু মুসলমানদের নবী নন, আপনারও নবী। আল্লাহ বলেছেন:
“বলো, হে মানুষ! আমি তোমাদের সবার জন্য আল্লাহর রাসুল।” (সূরা আ’রাফ, আয়াত ১৫৮)

এখানে আল্লাহ সব মানুষকে সম্বোধন করছেন, এবং যেহেতু আপনি একজন মানুষ, তাই তিনি আপনারও নবী। মৃত্যুর পর চিরস্থায়ী জাহান্নাম থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে এই নবীর অনুসরণ করতে হবে এবং তাঁর শিক্ষা মেনে চলতে হবে। হে আমার প্রিয় ভাই! আমি আপনাকে এই নবীর উপর ঈমান আনার আহ্বান জানাই।

আমরা যেন আল্লাহকে পুরোপুরি মান্য করতে পারি, সেজন্য তিনি মুহাম্মাদ (সা.)-এর মাধ্যমে আমাদের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা হলো আল-কুরআন। এই কিতাবে কোনো সন্দেহ নেই। কুরআন জানা এবং মানা আপনার জন্যও ঠিক ততটাই প্রয়োজনীয়, যতটা আমার জন্য। তাই স্রষ্টার বাণী হিসেবে বিবেচনা করে; আমি আপনাকে কুরআন পড়তে, বুঝতে এবং তা অনুসরণ করতে আহ্বান জানাই। 

আল-কুরআন পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

প্রিয় ভাই ও বোন! আমি আপনাদের আরেকটি সত্য জানাচ্ছি, আপনার এবং আমার সহ সব মানুষের ধর্ম হলো ইসলাম। ইহা হলো আল্লাহ প্রদত্ত একমাত্র ধর্ম। ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

আল্লাহ বলেছেন:
“নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য ধর্ম হলো ইসলাম।” (সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৯)

“যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম তালাশ করে, তা কখনও তার থেকে গ্রহণ করা হবে না।” (সূরা আল-ইমরান, আয়াত ৮৫)

তাই আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে আমি আপনাকে ইসলাম গ্রহণ করার এবং মৃত্যুর পর চিরস্থায়ী জাহান্নাম থেকে বাঁচার আহ্বান জানাই।

আমাদের গন্তব্য কোথায়? এই পৃথিবী আমাদের প্রকৃত আবাস নয়। প্রকৃত আবাস হলো জান্নাত। আমাদের এই ক্ষণস্থায়ী পৃথিবী ছেড়ে চিরস্থায়ী আখিরাতের দিকে যেতে হবে। মৃত্যুর পর আমাদের আল্লাহর কাছেই ফিরে যেতে হবে। তিনি আমাদের প্রশ্ন করবেন, আমরা এই পৃথিবীতে কী করেছি? যদি আমরা ইসলাম গ্রহণ করতে পারি, তাহলে জান্নাতে চিরস্থায়ী সুখ লাভ করতে পারবো। অন্যথায়, আমরা চিরস্থায়ী শাস্তি ও যন্ত্রণার স্থান জাহান্নামে পতিত হবো।

প্রতিটি মানুষ শান্তি চায়। শান্তির পথ না জানার কারণে আমরা নীড়হারা পাখির মতো অশান্তির পথে এগোচ্ছি। কিন্তু কোনো কিছুতেই যেন আমরা আমাদের প্রকৃত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছি না। কেননা, শান্তির পথ হলো ইসলাম।

আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী ভাই হিসেবে আমি আপনাকে ইসলাম গ্রহণ করতে এবং শান্তি ও মুক্তির পথ বেছে নিতে আহ্বান জানাই। ইসলাম গ্রহণের পদ্ধতি হলো অন্তর থেকে বিশ্বাস করা যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর রাসুল। ইসলামই সত্য ধর্ম, এবং মৃত্যুর পর আমাদের আল্লাহর কাছেই ফিরে যেতে হবে। এটি মুখে স্বীকার করুন।

اَشْهَدُ اَنْ لَّا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَ اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَ رَسُوْلُهٗ
“আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহ।”
অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর বান্দা ও রাসুল।

এই কথাগুলো মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে ও মুখে উচ্চারণ করলে আপনি মুসলিম হয়ে যাবেন এবং আপনার অতীতের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। আপনার ইসলাম গ্রহণের সুসংবাদ শুনতে আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।